অনেক আগেই খুলে ছিলাম এই ব্লগস্পটটা। উৎসাহদাতার ভূমিকায় ছিল শাহান; আমার ছাত্র, পরবর্তীকালে কলিগ এবং তারপর অনেক ভালো আর কাছের বন্ধু। আমার বন্ধু ভাগ্য বরাবরই ভালো। আসবে তাদের কথা একে একে।
সেইসময় আমি ছিলাম একটু অন্যরকম মানুষ। প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানে আমার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। আর তাইতো এখন কিছুটা সময় পড়ে থাকে অনাদরে, অবহেলায়। তাদেরকে কুড়িয়ে নিলাম আজ। ভাবলাম তবে হোক না ওদের একটু ব্যবহার। আর কিছুদিন ধরেই কেন জানি না একেবারেই নিজের একটু জায়গার প্রয়োজন বোধ করছিলাম। যেখানে আমার অনেক বেশি ভেবে লিখতে হবে না, আমার অনুভূতিগুলোতে একেবারেই ছুরি-কাঁচি চালানোর দরকার হবে না। আমি আমার মতন করে বকব, বলব।
অস্থির মানুষ আমি। তাইতো অফিসে বসেই শুরু করে দিলাম। এই জায়গাটা হবে একেবারেই আমার মতন। এইখানে থাকবে আমার প্রিয় মানুষগুলোর কথা, আমার কথা আরও অন্য অনেকের কথা। থাকবে অনেক ছোট্ট ছোট্ট অনুভূতি আমার। জীবনের শেষে এসে উল্টে যাবো এই ই-ডায়েরীর পাতা। নিজেকে দেখতে পাবো, আরো দেখতে পাবো আমার আশেপাশের প্রিয়-অপ্রিয় মানুষগুলোকে। কখনও আমার ঠোঁটে ফুটবে এক চিলতে হাসি বা কখনও মৃদু ভ্রুকুঞ্চন অথবা চোয়ালগুলো হয়ে উঠবে শক্ত। সময়টাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আপাতত এর চেয়ে ভালো কোন কিছুর কথা আর মনে পড়ছে না।
এই যেমন ধরুন না আজকের দিনটার কথা। সকালে বাসা থেকে বেরোনোর আগেই দেখলাম চমৎকার রোদ। অফিসে এসে বুঝলাম মুদ্রার সবসময়ই উল্টোপিঠও থাকে। বাইরে ছিল ভয়ংকর বাতাস। হাত-পা প্রায় অবশ। হয়ে গেল কয়েক দফা চা আর সেই সাথে সাথে দিন শুরুর রুটিন কাজগুলি; ফেসবুকিং, মেইল চেক, পেপার পড়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুব মনটা খারাপ হল বাংলাদেশের খেলার শেষভাগের লাইভ আপডেটটা দেখে। ঘুম থেকে যখন উঠি বাংলাদেশে তখন বিকাল তিনটার মত। দলের রান ১৬০-১৭০ আর তামিমেরই ১২০ এরও বেশি। খুব মজা পেয়েছিলাম। কিন্তু দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারটাতে আউট হয়ে গেল। আবার হতাশায় পুড়লাম। এত কাছে এসে যদি ফিরে যেতে হয় তবে তা বুকের মাঝে অনেকক্ষণ চেঁপে বসে থাকে।
এরকম একটা কিছুই চেঁপে বসেছিল গতরাতে। আজকে সকালে উঠে ভাবলাম ... ধূর, জীবন তো একটাই। কী হবে এতকিছু চিন্তা করে? চলুক না, যেমন চলছে। আর ভেবেচিন্তে কাজ করতে গেলেই আমার গুবলেট হয়ে যায় বেশি।
খুব মজা পাচ্ছি এখানে লিখে। নিজের জন্য লিখছি বলেই আরো ভালো লাগছে। আরো লিখবো।
এখন থাক।
---------------------
বিকাল ৪টা ৫৫
জানুয়ারী ২৬, ২০১০
এন্সকেডে থেকে
উত্তর খুঁজতে দক্ষিণে
২ সপ্তাহ আগে
৮টি মন্তব্য:
চমৎকার! কমিউনিটি ব্লগের চেয়ে পার্সোনাল ব্লগে অনেক বেশি স্বাধীনতা, পড়তেও ভাল লাগে অনেক। সমস্যা একটাই, সবাই উৎসাহ নিয়ে শুরু করে কিন্তু কিছুদিন পর ঝিম মেরে যায়(যেমন আমি)। আপনে কিন্তু ঝিম মেরে যাইয়েন না :)
না বলে পারতেছিনা, আপনার লেখা দিনকে দিন আরো ভাল হচ্ছে। :)
আহ শাহান। তুমি কিন্তু আমার সব ভালো কিছুর শুরুতেই থাকো। ব্লগিং থেকে শুরু করে আমার নেদারল্যান্ডস এর স্কলারশীপ এর অ্যাডটাও তুমি দিছিলা ফরোয়ার্ড করে।
একটু ফু মাইরা দ্যান গুরু ... :D
পার্সোনাল ব্লগ অনেক ভালা :)
তবে ফুয়েল থাকেনা। আমি যেমন বাংলা না ইংরেজি, টেকি না নরমাল এইগুলার প্যাঁচে পইড়া আর কিছুই লেখি না।
আশা করি আপনার থাকবে :D
ইংরেজীর ব্যাবহার আপাতত শুধু পেপার লেখার জন্য। আর আমি টেকী জিনিস লিখব না। সুতরাং, থাকলো শুধু মানুষ আর জীবন; ভালোবাসা আর ঘৃণা। এইতো। দেখা যাক, কী করা যায়।
শুভ কামান আপনার জন্য। সমস্যা নাই, ব্যক্তিগত হোক আর পাব্লিক হোক, আপনি যেখানেই যান সেখানেই হানা দিমু। ভালো থাইকেন। :)
তাতো দেখতেই পাইতেছি ... :D
একটু সাবধানে থাইকো। এখানেও 'ব্যান' করার অপশন আছে। হেহেহে ... ভালো থাকো।
লাইক ইউর রাইটিং! আমার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডটাও ভুলে গেছি। যা খুশি লিখি আমি সামুতে! :D
আমারও যা খুশি লিখতে ইচ্ছা করতেছে। তাই খুইলা ফেললাম দোকান।
আমিও তোমারে, তোমার লেখারে অনেক ভালো পাই ... (লুল ইমো)।
সিরাম একটা লেখা আসতেছে। Stay Tuned.
[প্রচারেই প্রসার ... :P]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন