বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০১০

খবরদার, পইড়েন না।

সময়ের কোন নড়ন চড়ন নাই। ক্যাম্নে কী? বুঝবার পারতাছি না।
কাইল রাতে ঘুমাই নাই। পিএইচডির ঠ্যালা ঠেলছি সারা রাইত ধইরা। ডেডলাইন ছিল একটা আগামী রবিবারে। বিশেষ এক কারণে ঠিক কইরা ফেললাম আজকেই "বিড়াল মারুম"। সকাল সাতটার সময় ঠাণ্ডার মধ্যে যখন বাড়ির দিকে রওনা দেই তহন বিড়াল মরছে কী না জানি না তয় আমার ব্যাপক ঠ্যাং ব্যথা শুরু হইছিল।

এখন করতাছে চোখ ব্যথা। ঘুম হইছে সকালে ঘন্টা তিনেক। তারপর লাঞ্চ কইরা ইউনি আইসা বসতে না বসতেই মেইলবক্স খুইলা দেখি প্রফেসরের ক্যালায়িত মেইল। ডেডলাইন পিছাইছে এক সপ্তা। সে বিয়াপক খুশি। ব্যাটা আমার চেয়েও ফাঁকিবাজ। ড্রাফট লিখা পড়তে দিলে সে শুধু জানি কেমন কেমন করে। হালারে পাইয়া লই একদিন।

যে কথা কইতে ছিলাম। চোখ ব্যথায় কাবু হয়ে ক্যাপাচ্চিনো পান করতে করতে দিলাম এক ঢাকাবাসী বন্ধুরে [না কী বান্ধবী? ;)] ফোন। সে দেখি মহা আরাম কইরা ঘুমায়। যদিও তখন তারে ভদ্র কইরাই বললাম "আচ্ছা, ঘুমাও"; মনে মনে ব্যাপক হিংসা দিছি। আমি তো ঘুমাইতে পারতাছি না।

আইজ অফিসে আসছি সাড়ে বারোটার পরে। মনে হইতেছে অনেকক্ষণ ধইরাই এই চেয়ারটায় বইসা আছি। চেয়ার থেইকা উঠছি কিছুক্ষণ আগেও। অফিসে আইছি হইছে মোটে আড়াই ঘন্টা। একটা পেজ পড়ছি শুধু। হইলটা কী? সময় থাইমা গেল না কী? পৃথিবীর ব্যাটারী কি শেষ?

তয় আমার ব্যাটারী শেষ করার ব্যাপক পরিকল্পনা করছি এইবার। যদি সফল হই, তাহলে পৃথিবীর বুকে আমার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবো একজন কিংবদন্তী প্রেমিক হিসেবে আর যদি ব্যর্থ হই তাইলে তো আবার সেই লুপে পরুম। হায় হায়। নাহ, সে বেশ চলনসই ... :)

এইগুলা কী লিখলাম? এই লেখার লিংক তো দেওয়াই যাইবো না। লুকজন মাইর দিবো সোজা তাগো টাইম লস করানোর জন্য। অনেকটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখার মতন। :(

মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০১০

শিরোনামহীন কিছু কথা

বুড়ো হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন। একেবারে প্রথম জন্মদিনে বাবা-মার সাথে তোলা ছবিটা এবারও বাসায় যেয়ে দেখে এসেছিলাম। নীল রংয়ের পাঞ্জাবী পড়া ছিলাম। মার কাছে শোনা, ওটাই নাকি ছিল আমার প্রথম পাঞ্জাবী। তারপর আরো কত সহস্র দিন চলে গেল। অনেক ঘটনা, অনেক হাসি, অনেক কান্না। মাঝে মাঝে ভাবি, জীবনের শেষটা কেমন হবে?

অতদূর চিন্তা আমার ক্ষুদ্র মাথায় আমি করতে পারিনা। আগামী এক বছর আমি কি করব, কিভাবে থাকবো সেটাই আমার কাছে ধোঁয়াশা। আর আমি দেখেছি যখন কোন চিন্তা-ভাবনা করি ভবিষ্যতের, হয় পুরো উলটো। তাই এখন আমি অনেক চালাক। সুখচিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি। তাও মাঝেমাঝে স্বপ্নরা হানা দেয় জীবনের উঠোনে। দরজা খুলে আমি বেরুতে না বেরুতেই তারা দৌড়ে পালায়।

এই জীবনটাতে অনেক কিছুই দেখেছি। কিভাবে মানুষ মানুষের কাছে আসে, তারাই আবার স্বার্থপরের মতন খুবই আশ্চর্যজনকভাবে সব কিছু ভুলেও যেতে পারে। দেখেছি, সবচেয়ে প্রিয়জনকে ভুলেও কিভাবে দিব্যি জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়। দুঃখগুলো, কষ্টগুলো কীভাবে ভুলে থাকা যায় তাও জানি আমি। আবার দেখেছি একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে জীবনের কোন এক বাঁকে নিজের উপস্থিতি টের পাওয়া। হয়ত বাঁকের একদিকে নিরবিচ্ছিন্ন সুখ আর ভালোবাসা; আর অন্যপ্রান্তে একাকীত্ব আর হতাশা। আর সবচেয়ে অসহায় লাগে একজন মানুষের তখনই বোধহয় যখন সে বোঝে তার জীবনের চাবি অন্য একজনের কাছে। এই পৃথিবীর আর কোনও জীব কি মানুষের মতন একই ভুল এরকম বারে বারে করে?

কোন গল্পের বই যখন হাতে নিতাম তখন বেশি উত্তেজনার বশে আগে শেষটা পড়ে নিতাম। অথবা হয়তবা খুব বিরক্তিকর লাগলেও। আমার জীবনটা এখন কিরকম বুঝতে পারছি না তবে পড়ে নিতে ইচ্ছে করছে আমার গল্পের শেষ অধ্যায়গুলো।

নিজেকে হয়ত প্রস্তুত করতে পারতাম অনিবার্য পরিণতির জন্য।