বুড়ো হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন। একেবারে প্রথম জন্মদিনে বাবা-মার সাথে তোলা ছবিটা এবারও বাসায় যেয়ে দেখে এসেছিলাম। নীল রংয়ের পাঞ্জাবী পড়া ছিলাম। মার কাছে শোনা, ওটাই নাকি ছিল আমার প্রথম পাঞ্জাবী। তারপর আরো কত সহস্র দিন চলে গেল। অনেক ঘটনা, অনেক হাসি, অনেক কান্না। মাঝে মাঝে ভাবি, জীবনের শেষটা কেমন হবে?
অতদূর চিন্তা আমার ক্ষুদ্র মাথায় আমি করতে পারিনা। আগামী এক বছর আমি কি করব, কিভাবে থাকবো সেটাই আমার কাছে ধোঁয়াশা। আর আমি দেখেছি যখন কোন চিন্তা-ভাবনা করি ভবিষ্যতের, হয় পুরো উলটো। তাই এখন আমি অনেক চালাক। সুখচিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি। তাও মাঝেমাঝে স্বপ্নরা হানা দেয় জীবনের উঠোনে। দরজা খুলে আমি বেরুতে না বেরুতেই তারা দৌড়ে পালায়।
এই জীবনটাতে অনেক কিছুই দেখেছি। কিভাবে মানুষ মানুষের কাছে আসে, তারাই আবার স্বার্থপরের মতন খুবই আশ্চর্যজনকভাবে সব কিছু ভুলেও যেতে পারে। দেখেছি, সবচেয়ে প্রিয়জনকে ভুলেও কিভাবে দিব্যি জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়। দুঃখগুলো, কষ্টগুলো কীভাবে ভুলে থাকা যায় তাও জানি আমি। আবার দেখেছি একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে জীবনের কোন এক বাঁকে নিজের উপস্থিতি টের পাওয়া। হয়ত বাঁকের একদিকে নিরবিচ্ছিন্ন সুখ আর ভালোবাসা; আর অন্যপ্রান্তে একাকীত্ব আর হতাশা। আর সবচেয়ে অসহায় লাগে একজন মানুষের তখনই বোধহয় যখন সে বোঝে তার জীবনের চাবি অন্য একজনের কাছে। এই পৃথিবীর আর কোনও জীব কি মানুষের মতন একই ভুল এরকম বারে বারে করে?
কোন গল্পের বই যখন হাতে নিতাম তখন বেশি উত্তেজনার বশে আগে শেষটা পড়ে নিতাম। অথবা হয়তবা খুব বিরক্তিকর লাগলেও। আমার জীবনটা এখন কিরকম বুঝতে পারছি না তবে পড়ে নিতে ইচ্ছে করছে আমার গল্পের শেষ অধ্যায়গুলো।
নিজেকে হয়ত প্রস্তুত করতে পারতাম অনিবার্য পরিণতির জন্য।
Storm's End PR
৫ বছর আগে
৪টি মন্তব্য:
এত চিন্তা করে লাভ কি!
নেন - গান শুনেনঃ
http://www.youtube.com/watch?v=YAo3Nefox2w
ভাল না লাগলেও শুনেন, পুরাটা শুনেন। :P
ওরে বাবা। গান তো ব্যাপক চিল্লাপাল্লা। ঘুম পুরাই ভেঙে গেছে।
এইটাই তো স্ট্র্যাটেজি! বিষন্ন কিংবা ক্লান্ত থাকলে আমি কখনো পুতুপুতু মার্কা গান শুনি না। মেটাল গানের ম্যাজিকাল পাওয়ার আছে। কয়দিন শুনেন, আপনেও ধরতে পারবেন।
হ, আমিও শুনি ... হিন্দী গান। নায়িকাদের নাচ দেখি ... :-)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন